রংপুর ব্যুরো
আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্তে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের গণেশ উলটে যাবে বলে মনে করছেন অনেক অত্র অঞ্চলের সচেতন মহল।
বুধবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর সভাপতি শেখ হাসিনা এমপি’র নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া-কে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুর আওয়ামী লীগের নেতাদের বিদ্রোহী প্রার্থীকে জিতিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অনেক আগে থেকেই।
এ কারণেই কিছুদিন আগে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
রংপুর সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন শাফিয়া রহমান শাফি, এডভোকেট রেজাউল করিম রাজু ও রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল।
এ প্রচারণায় অংশ নেননি অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।
তবে আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে মনে করছেন রংপুরের রাজনীতিবীদগন। এর ফলে রংপুরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল হ্রাস ও বিদ্রোহী প্রার্থী তৈরির সম্ভাবনা অনেকখানি হ্রাস পাবে বলে অনেকে ধারনা করছেন। এছাড়াও এই সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টির দুর্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শরিফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত দল ও নারী নেতৃত্বে উৎসাহী করছে। এখানে কোন প্রার্থী ফ্যাক্টর নয়, ফ্যাক্টর হলো আওয়ামী লীগ। আওয়ামীলীগ যাকে মনোনয়ন করেছে তাকেই দলটির সমর্থনকারীরা ভোট দেবে। মনোনয়ন অনেকেই চাইতে পারেন, কিন্তু একজনকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। আর হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া আগে এমপি ছিলেন, তিনি একটি পরিচিত মুখ। দলের লোকেরা একসাথে কাজ করলে বিজয়ী হওয়ার সাম্ভবনা আছে।
এবারের রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের শুরু থেকে মাঠ কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।
তবে দলীয় কোন্দলে রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে রংপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুর রউফ মানিককে মনোনীত করা হয়। ফলে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন জটিলতায় আওয়ামী লীগের রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া কে মনোনয়ন প্রদান একটি সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন রংপুরের জনগণ।
এনিয়ে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার আ.লীগ সভাপতি রেজাউল ইসলাম বলেন, আমার নেত্রী একজন চৌকস মানুষ। তার সিদ্ধান্ত কখনও ভুল হবেনা। অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া একজন ত্যাগী নেত্রী। জাতীয় পার্টির দুর্গে রংপুর সিটি নির্বাচন এবার জমবে।
এনিয়ে সিটি নির্বাচনে প্রচারণায় এগিয়ে থাকা প্রার্থী তুষার কান্তি মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন নেত্রী যাকে মনোনয়ন করেছেন তাকেই আমরা সাপোর্ট করবো। আসন্ন নির্বাচনে একসাথে কাজ করে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামীলীগের নেতার জয় হবে এইটাই আমাদের দলের লক্ষ্য।